ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীসহ ১৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে পুলিশ হত্যা চেষ্টা, দাঙ্গা বাঁধানো, সরকারি কাজে বাধা প্রদানসহ ৯টি অভিযোগে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) আবুল হোসেন আরটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবুল হোসেন জানান, শুক্রবার দোয়েল চত্ত্বরের ভাস্কর্য অপসারণের বিক্ষোভ থেকে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, ঢাকা কলেজ সংসদের সভাপতি মোর্শেদ হালিম, লালবাগ থানার শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক আল আমিন জয় ও উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর আরিফ নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ হত্যা চেষ্টা, দাঙ্গা বাঁধানো, সরকারি কাজে বাধা প্রদানসহ ৯টি ধারায় মামলা করা হয়। শনিবার সকালে তাদের কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ভাস্কর্য সরানোর প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল বের করলে মিছিলকারীদের ওপর পুলিশের জলকামান ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ, দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় সংঘর্ষে ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট, উদীচীসহ বেশ কয়েটকটি সংগঠনের অর্ধশত কর্মী আহত হন।
একপর্যায়ে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীসহ ৪ জনকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য সরানো হয়। রোমান যুগের ন্যায়বিচারের প্রতীক ‘লেডি জাস্টিস’র আদলে ভাস্কর্যটি কয়েক মাস আগে দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হয়।
এরপর থেকেই হেফাজতে ইসলামসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল ভাস্কর্যটি সরানোর জন্য আন্দোলন করে আসছিল। একইসঙ্গে সরকারের ওপরও চাপ তৈরি করে তারা।
ভাস্কর্য সরানোর পর প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদের পাশাপাশি দেশের সব 'মুর্তি' সরানোর নতুন দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
আর/ এমকে /এসজে